রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
রেফ্রিজারেটরের সাধারণ গঠন :
তাপমাত্রা কমিয়ে খাদ্যদ্রব্যের ব্যাকটেরিয়অর বৃদ্ধি রোধ করে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য রিফ্রিজার্টের ব্যবহার করা হয়। খাদ্যসামগ্রী নষ্টের হাত থেকে রক্ষার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য অবিকৃত রাখতে এটি কাজ করে। এ কাজে ব্যবহৃত রিফ্রিজারেন্ট, কম্প্রেসার দিয়ে পরিচালিত হয় এবং কম্প্রেসার বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে চলে। থার্মোস্ট্যাট রিফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রিফ্রিজারেটর ব্যবহারে খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও, অফিস আদালতে ব্যাপকভাবে রিফ্রিজারেটর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচের চিত্রে একটি রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন অংশ দেখানো হলো১। ফ্রিজার কম্পার্টমেন্ট,
২। আইচ কিউব ট্রে,
৩। মিট ট্রে,
৪। কোটেড সেলুফ,
৫। ক্লাস সেল্ফ সেল্ফ,
৬। ইউটিলিটি বক্স,
৭। ক্রিসপার,
৮। ড্রেইন ট্রে,
৯। কন্ট্রোল বক্স,
১০। এগ র্যাক,
১১। ইউটিলিটি র্যাক,
১২ । ক্যানড ফুড ব্ল্যাক,
১৩। বোতল গার্ড,
১৪। ফ্রিজার সেল্ফ
১৫। বোতল গার্ড আপ,
১৬। অ্যাডজাস্টেবল লেগ,
১৭। কেবিনেট
১৮। দরজা ।
রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
রেফ্রিজাটরের বৈদ্যুতিক সার্কিটের কার্যপদ্ধতি :
এর মধ্যে রয়েছে লাইট, টেম্পারেচার কন্ট্রোলসুইচ বা থার্মোস্ট্যাট, ওভার লোড হিটার, রিলে, মোটর ইত্যাদি। ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রোল বলতে রিফ্রিজারেটিংয় মেশিনের তাপমাত্রা ও চাপ মোটর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বোঝায়। রেফ্রিজারেটরের কাজ ভাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যে সুইচ ব্যবহার করা হয় তা মোটর ও কমপ্রেসার চালু ও বন্ধ করে কাজ সমাধা করে। চিত্রে ওভারলোড কন্ট্রোলসুইচ এবং স্টার্টিং রিলে মটরের রানিং ওয়াইন্ডিং এ সাথে সিরিজে সংযোজন করা আছে। যখন মোটর ওভার লোডেড হয়ে যায় তখন এ ওভারলোড কন্ট্রোল সুইচ মোটরকে সাপ্লাই হতে বিচ্ছিন্ন করে। ফরে রিফ্রিজারেটরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম ওভারলোড কন্ট্রোল সাধারণত হিটার কয়েলের তৈরি যার মাধ্যমে মোটরে কারেন্ট যেতে পারে। যখন হিটারে প্রবাহিত কারেন্ট নির্ধারিত মানের চেয়ে খুব বেশি হয় তখন ওভারলোডের মধ্যে অবস্থিত এক জোড়া বাই-মেটালিক কন্ট্যাক্ট (থার্মোস্টাট) ব্লেড খুলে যায় ও সার্বিটকে লক্ষা করে স্টার্টিং রিলে স্পিন্ট ফেজ টাইপ মোটর চালনায় সাহায্য করে। টেম্পারেচার কন্ট্রোল সুইচ এবং ওভার লেঅড কন্ট্রোল কন্ট্যাক্ট বন্ধ অবস্থায় রিলে করেল ও মোটরের রানিং ওয়াইন্ডিং-এর মাধ্যমে বর্তনী সম্পন্ন হয়। রিলে কয়েল দিয়ে বেশি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হলে রিলে কন্ট্যাক্ট বন্ধ হয়, যার কারণে স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং সার্কিটে সংযুক্ত হয় এবং মোটর স্টার্ট নিয়ে বলতে শুরু করে। যখন মোটরের স্পীড স্বাভাবিক গতিতে আসে, তখন রিলে কয়েল দিয়ে কারেন্টের প্রবাহ কমে যায়। এর ফলে রিলে কন্ট্যাক্ট ওপেন হয় ও স্টার্টিং ওয়াইডিং সার্কিট হতে বিচ্ছিন্ন হয়। এ অবস্থায় মোটর তার স্বাভাবিক কার্যক্রম সার্কিটে সংযুক্ত রানিং ওয়াইডিং দিয়ে সম্পন্ন করে। এভাবে রেফ্রিজারেটরের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম কাজ করে।রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
অন্য পোষ্ট : সার্কিট ব্রেকার - সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে - বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং কাকে বলে
থার্মোস্ট্যাটের কার্যপদ্ধতি :
রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করা হয় কিন্তু এটা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বাইমেটালিক থার্মোস্ট্যাটের মতো নয়। রেফ্রিজারেটরের থার্মোস্ট্যাটে একটি ভাষকে হাপরের সাথে আটকানো হয় এবং এর মধ্যে কিছু রেফ্রিজারেন্ট থাকে। যখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, রেফ্রিজারেন্ট উত্তপ্ত হয় এবং হাপরটি বৃদ্ধি পার, ফলে কন্ট্রোল সুইচটি বন্ধ হয় এবং কম্প্রেসার মোটর চালু হয়। কম্প্রেসার চালু অবস্থায় যখন আটকানো চেম্বারের রেফ্রিজারেন্ট এবং হাপর সংকুচিত হয়, তখন সুইচ খুলে যায় এবং কম্প্রেসার অফ হয়ে যায়। এইভাবে সুইচ অন এবং অফ করার জন্য ক্ল্যাপ একশনের ব্যবস্থা যা অফ অন এর সময় আর্ক এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ।রেফ্রিজারেটরের রিলের প্রয়োজনীয়তা বেশীর ভাগ রেফ্রিজারেটরে একটি ওভারলোড সেফটি কন্ট্রোল এবং মোটর টার্টিং রিলে থাকে। ওভারলোড কন্ট্রোর সুইচ এবং টার্টিং রিলে উভয়ের কয়েল মোটরের রানিং কয়েলের সাথে সিরিজে সংযুক্ত থাকে। যখন মোটর ওভার লোডেড হয় তখন ওভার-লোড কন্ট্রোলার মোটরকে মেইন সাপ্লাই লাইন থেকে আলাদা করে দেয়। ওভারলোড কন্ট্রোলে সাধারণত হিটার কয়েলের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। যখন হিটার কারেন্ট নির্দিষ্ট মান থেকে বেশী হয়, তখন একজোড়া বাই-মেটালিক ব্রেড সার্কিট খুলে দেয়। স্টার্টিং রিলে স্প্লিট ফেজ মোটরকে চালু করতে সাহায্য করে। আইস চেম্বারের তাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে থার্মো -সুইচ কম্প্রেসার মোটরের রানিং কয়েলকে সাপ্লাই লাইনের সাথে সংযোগ করে। যেহেতু এই সময় মোটরের আরপিএম শূণ্য থাকে সেই কারণে রানিং কয়েলের ভিতর দিয়ে অধিক পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয়, যার ফলে ষ্টার্টিং রিলের তড়িৎচুম্বক সক্রিয় হয়ে ষ্টার্টিং কয়েলকে সাপ্লাই লাইনের সংগে সংযোগ করে দেয় এবং সংগে সংগে মোটর চলতে শুরু করে। মোটরের আরপিএম বাড়তে থাকরে মোটরের রানিং কয়েলের করেন্ট কমতে থাকে, ফলে ষ্টার্টিং রিলের চুম্বক শক্তি কমে আসে এবং এটি ষ্টার্টিং কয়েলের সংযোগ সাপ্লাই লাইন থেকে কেটে দেয়। কিন্তু মোটর চলতে থাকবে। আইস চেম্বারের তাপমাত্রা যতক্ষণ নির্দিষ্ট মান পর্যন্ত নেমে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত মোটর চলতে থাকবে। আইস চেম্বার পুনরায় গরম হওয়ার সাথে সাথে ষ্টার্টিং রিলে পূর্বের ন্যায় ষ্টার্টিং কয়েলকে সংযোগ করে মোটরকে চালু করে দেয়। এইভাবেই রিলের মাধ্যমে মোটর একবার চালু হয় এবং একবার বন্ধ হয় ।
রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
এয়ার কুলার
এয়ার কুলার-এর সাধারণ গঠন। পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার অবস্থার প্রেক্ষিতে কোনো কক্ষের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা প্রাপ্তি এবং নির্দিষ্ট আর্দ্রতা সম্পন্ন ধুলি বালি মুক্ত পরিবেশ প্রাপ্তির জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাই এয়ার কুলার। এয়ার কুলারের কুলিং ক্ষমতা হচ্ছে এটি কর্তৃক একক সময়ে অপসারিত তাপের পরিমাণ। এখানে সময়ের একক ঘণ্টা এবং তাপের একক BTU (ব্রিটিশ বার্মাল ইউনিট) হলে এয়ার কুলারের ক্ষমতা হবে BTU/hr 12,000BTU/hr= এক টন (Ton) এবং 3413BTU/hr= এক কিলোওয়াট। সাধারণত এয়ার কুলারের ক্ষমতা টন এককে প্রকাশ করা হয়।অন্য পোষ্ট : ফ্যারাডের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন সূত্র - সার্কিট ব্রেকার - ট্রান্সফরমার কাকে বলে
স্থাপনের অবস্থান অনুযায়ী এয়ার কুলার তিন প্রকার যথা :
১। উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলার২। প্যাকেজ় টাইপ এয়ার কুলার
৩। স্প্লিট টাইপ এয়ার কুলার।
একটি আধুনিক উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলার নিম্নলিখিত অংশের সমন্বয়ে গঠিত।
ক) রিমোট কন্ট্রোল ইউনিট
খ) মেকানিক্যাল অংশ
(i) সামনের গ্রিপ (ii) কেবিনেট (iii) কন্ট্রোল বক্স
গ) বায়ু প্রবাহকারী অংশ
(i) এয়ার গাইড এবং বুয়ার, (ii) ফ্যান এবং প্রাউড্ (iii) মোটর
ঘ) ইলেকট্রিক্যাল অংশ
(i) ওভারলোড প্রটেক্টর, (ii) কমপ্রেসার, (iii) ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার সার্কিট (iv) ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সার্কিট, (v) পাওয়ার কর্ড
এয়ার কুলারের বিভিন্ন অংশের প্রয়োজনীয়তা:
এয়ার কুলারের বিভিন্ন অংশের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে বর্ণনা করা হলোক। রিমোট কন্ট্রোল ইউনিট এয়ার কুলারের জন্য রিমোট কন্ট্রোল একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীকে বারবার উঠে গিয়ে তার এয়ার কুলার নিয়ন্ত্রণ করার ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকার একটি এয়ার কুলােেক তার ইচ্ছামতো ও প্রয়োজনমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই ইউনিট নিম্নলিখিত অংশগুলির সমন্বয়ে গঠিত
(১) পাওয়ার বাটন :
এই বাটন চেপে এয়ার কুলারের পাওয়ার অন কিংবা অপ করা যায়।
(২) টেম্পারেচার কন্ট্রোল বাটন এই বাটন চেপে থার্মোস্ট্যাটের ভাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ১৬ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সেট করা যায়।
(৩) অপারেটিং মিািড সিলেক্টর বাটন : সাধারণত এয়ার কুলারের অপারেটিং মোড তিনটি যথা :
ক) সেভ মোড (এনার্জি সেভিং মোড),
খ) ভেন্টিলেটিং ফ্যান অপারেশন,
গ) ড্রাই মোড,
(৪) ফ্যান স্পিড সিলেক্টর সাধারণত এয়ার ফ্যান স্পিড সিলেকশনে তিনটি মিাড থাকে যথা :
ক) হাই স্পিড মোড,
খ) মিডিয়াম স্পিড মোড,
গ) লো স্পিড মোড
(৫) অন-অফ টাইমার বাটন এয়ার কুলার কত ঘণ্টা পরে অন হবে কিংবা কত ঘণ্টা পরে অফ হবে তা নির্বাচন করা যায়।
(৬) অটো সুইং বাটন সুইং বাটন সিলেক্ট করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বায়ু প্রবাহকে বায়ু প্রবাহকে ডানে এবং বামে ঘুৱাৰে।
খ) ফ্রন্ট গ্রিল । এটি এয়ার কুলারের মেকানিক্যাল অংশসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা কুলারের ভিতরের অংশকে সম্মুখ দিক থেকে ঢেকে রাখে এবং প্রয়োজনীয় বায়ু প্রবাহের সুবিধা প্রদান করে।
গ) কেবিনেট : এটি এয়ার কুলারের বডি। এটি উন্নত মানের স্টিল শিট দিয়ে তৈরি। বিশেষ করে উইন্ডো টাইপ এবং পেকেজ টাইপ এয়ার কুলারের সকল যন্ত্রাংশ কেবিনেটের মধ্যে সুশৃঙ্খল ভাবে স্থাপন করা থাকে। এটি সকল অংশকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।
ঘ) কন্ট্রোল বক্স এয়ার কুলারের যাবতীয় বৈদ্যুতিক সার্কিটের নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বক্সেও মধ্যে থাকে। তাছাড়া বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য যান্ত্রিক ব্যবস্থাও এই অংশে থাকে।
ঙ) এয়ার গাইড এবং ব্লোয়ার এয়ার কুলারের এই অংশসমূহ সমস্ত বাতাসের প্রবাহ এবং এর দিক নিয়ন্ত্রন করে। ব্রোয়ার সাধারণত ইভাপোরেটরের দিকে বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করে। যা ইভাপোরেটরের গায়ে লেগে শীতল হয়ে এয়ার গাইডের মাধ্যমে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে।
চ) ফ্যান এবং হাউড (কভার): ফ্যান কন্ডেনসারের পেছনে এমন ভাবে বসানো থাকে যেন এর মাধ্যমে প্রবাহিত বাতাস সরাসরি কন্ডেনসারের বড়িতে লাগে। শ্রাউড একটি বিশেষ ধরনের কভার যা ফ্যানের বাতাসকে পেছনের দিকে যেতে দেয় না।
ছ) মোটর এয়ার কুলারে সাধারণত ক্যাপাসিটর রান মোটর ব্যবহার করা হয়। সিলেক্টর সুইচের মাধ্যমে এর গতি পরিবর্তন করা ব্যবস্থা থাকে। এই মোটরের দুটি দিকই খোলা থাকে। এটি কন্ডেনসার এবং ইভাপোরেটরের মধ্যে অবস্থান করে। এই মোটরের শ্যাফটের সাথে ইভাপোরেটরের দিকে বা রুমের ভেতরের দিকে ‘ব্লোয়ার ফ্যান' এবং কন্ডেনসারের দিকে বা বাইরের দিকে ‘কনডেনসার ফ্যান লাগানো থাকে।
জ) ওভার লোড প্রেটেক্টর শুভার লোড প্রটেক্টর কমপ্রেসর মোটরের সাথে সিরিজে সংযুক্ত থাকে। কমপ্রেসার মোটরকে রক্ষা করে। কমপ্রেসার কমগ্রেসর একটি রেসিপ্রোক্যাটিং পাম্প এবং একটি ক্যাপাসিটর রান মোটরের সমন্বিত ব্যাবস্থা। পাম্পটি কমগ্রেসর মোহরের সাহাযে ক্র্যান্ডিং পদ্ধতিতে সিলিন্ডারের ভিতরে পিষ্টনকে উঠানামা করিয়ে কার্য সম্পাদন করে থাকে। এর মাধ্যমে হিমায়ক বা কুলিং এজেন্ট কুলিং সাইকেল সম্পন্ন করে।
রেফ্রিজারেটর - Refrigerator introduction - এয়ার কুলার - Air Cooler
পাওয়ার কর্ড :
সাপ্লাই কর্ডের সাহায্যে সরবারহ লাইন হতে এয়ার কুলারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সাধারণত সাপ্লাই কৰ্ড হিসাবে তিন কোরের ডি. সি. সি বা টি. সি. সি., পিভিসি কিংবা টি. আর. এস তার ব্যবহার করা হয়, যার সাথে তিন পিন প্লাগ লাগানো থাকে। কনডেনসার কনডেনসার হিমায়ন সাইকেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কমপ্রেসার হতে আগত উচ্চ চাপ সমৃদ্ধ বাষ্পীভূত হিমায়ক এর তাপ শোষণ করে ভরলে রূপান্তরিত করে এবং পরিশেষ ঠান্ডা করে। এক্ষেত্রে কুলিং ফ্যান কনডেসারের হাপকে বাইরের বারের বায়মণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়।
ইভাপোরেটর :
ইভাপোরেটর হিমায়ন সাইকেলের একটি গুগুত্বপূর্ণ অংশ। যা কনডেনসার হতে আহত নিম্ন চাপ সমৃদ্ধ তরল হিমায়ক বাষ্প হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে ব্লোয়ার ফ্যান- এর মাধ্যমে প্রবাহিত বাতাস ইভাপোরেটরে ভাপ ছেড়ে দিয়ে ঠান্ডা হয়ে কক্ষে বা রুমে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাপিলারি টিউৰ :
ক্যাপিলারি টিউব মূলত একটি মূলভ হিমায়ক নিয়ন্ত্রক চিকন টিউব। এটি কন্ডেনসারের শেষে অর্থাৎ হিমায়ক প্রবাহের তরল লাইনের শেষ প্রান্তের সাথে ভাপোরেটরের প্রথম প্রান্তের সংযোগ স্থাপন করে হিমায়ককে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহের ব্যবস্থা করে।
অন্য পোষ্ট : আইপিএস - ইউপিএস - ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার - কুকার - শর্ট সার্কিট কি
এয়ার কুলারের কার্যপদ্ধতিঃ
এয়ার কুলার চালু করার পর এর মাধ্যমে কক্ষের ভেতরে ও বাইরে বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি হয়। কুল এয়ার প্রবাহ বলতে কক্ষের ভিতরে ইভাপোরেটর এ মাধ্যমে তাপ শোষণ প্রক্রিয়ায় শীতল বাতাসের প্রবাহকে বোঝায়, যা কক্ষের ভিতরের বাতাস ব্লোয়ারের মাধ্যমে টেনে ইভাপোরেটরের গায়ে নিক্ষেপ করে। ফলে এই নিক্ষিপ্ত বাতাসের তাপ ইভাপোরেটরের মাধ্যমে শোষিত হয়ে ঠান্ডা হয়ে পুনরায় কক্ষে ফিরে আসে। এই ঠান্ডা বাতাস কক্ষের তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে পুনরায় কুলারের মধ্যে প্রবেশ করে। এইভাবে এয়ার কুলার কোনো কক্ষের বাতাস ঠান্ডা রাখে। অপরদিকে কন্ডেনসার ফ্যান বাইরের বাতাস টেনে কনডেনসারের উপরে নিক্ষেপ করে যা কনডেনসারের তাপ শোষণ করে হিমায়ককে শীতল করতে সহায়তা করে। কনডেনসারের স্পর্শে আসা এই বাতাস উত্তপ্ত হয়ে কক্ষের বাইরে চলে যায়। এই ভাবে একটি এয়ার কুলার-এর কার্য সম্পাদিত হয়।এয়ার কুলারের সম্ভাব্য ত্রুটিসমূহ :
নিচে এয়ার কুলারের সম্ভাব্য ত্রুটিসমূহ উল্লেখ করা হলো১। এয়ার কুলার চলে না।
২। এয়ার কুলার চালু করার সাথে সাথে ফিউজ পুড়ে যায় অথবা সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে।
৩। এয়ার কুলার থেকে বাতাস পাওয়া যায় না
৪। এয়ার কুলার চলে কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ঠান্ডা হয়
৫। ফ্যান মোটর চলে না।
৬। এয়ার কুলার চলার সময় অধিক শব্দ হয়।
৭। এয়ার কুলারের ইভাপোরেটরে বরফ জমে।
এয়ার কুলার-এর সম্ভাব্য ত্রুটির সমূহ:
১। এয়ার কুলার চলে না।
২। এয়ার কুলার চালু করার সাথে সাথে ফিউজ পুড়ে যায় অথবা সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে।
৩। এয়ার কুলার থেকে বাতাস পাওয়া যায় না।
৪। এয়ার কুলার চলে কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ঠান্ডা হয় না।
৫। ফ্যান মোটর চলে না।
৬। এয়ার কুলার চলার সময় অধিক শব্দ হয়।
৭। এয়ার কুলারের ইভাপোরেটরের গায়ে বরফ জমে।