আর্থিং কি - আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি - ইলেকট্রোড কি - পাইপ আর্থিং
আর্থিং কি - আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি - ইলেকট্রোড কি - পাইপ আর্থিং
আর্থিং কি - আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি - ইলেকট্রোড কি - পাইপ আর্থিংআর্থিং :
অনাকাঙ্খিত বিদ্যুতের হাত থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং মানুষকে রক্ষার জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতু নির্মিত বহিরাবরণকে মাটির সংগে সংযোগ করাকে আর্থিং বলে । বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতু নির্মিত বহিরাবরণকে সাধারণত কোনো তারের সাহায্যে মাটির সংগে সংযোগ করা হয়।আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা :
বৈদ্যুতিক সিস্টেমের, যন্ত্রপাতির ও ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলো।১ । বজ্রপাত, শর্ট সার্কিট, কিংবা ইনসুলেশন নষ্ট হয়ে বা অন্য যে কোনো কারণে ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট বা
সিস্টেমের ভোন্টেজ বেড়ে গেলে তা মাটিতে পৌঁছে দেয়ার জন্য আর্থিক করা প্রয়োজন ।
২। অতিরিক্ত লিকেজ কারেন্ট আর্থিং তারের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে লিকেজ সার্কিট ব্রেকারের সাহায্যে অল্টারনেটর,
ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক মেশিনারিজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আর্থিং-এর প্রয়োজন।
৩। কোনো কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম বড়ি হলে উক্ত যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম যে ব্যক্তি চালনা করবে, সে ব্যক্তি এবং অন্য কোনো প্রাণীকে শক বা আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য আর্থিং করা প্রয়োজন।
৪। ট্রান্সফরমারের একটি লাইন ত্রুটিযুক্ত হলে হাই ভোল্টেজ উৎপত্তি হয়। উক্ত হাই ভোলেটজকে মাটির মধ্যে প্রবাহিত করার জন্য আর্থিং এর প্রয়োজন।
৫। বড় বড় স্থাপনা বা ইমারতকে বজ্রপাত হতে রক্ষা করার জন্য আর্থিং এর প্রয়োজন।
৬ । সার্কিটের কোনো ত্রুটিযুক্ত কারেন্টকে সহজে মাটিতে প্রবাহিত করার জন্য আর্থিং প্রয়োজন ।
আর্থিং-এর প্রয়োজনীয় মালামালের তালিকা:
আর্থিং এর প্রধান উপাদান তিনটি। যথা
১. আর্থ প্লেট বা আর্থ ইলেকট্রোড,
২. মেইন আর্থিং লিড বা আর্থ তার,
৩. আর্থের নিরবিচ্ছিন্ন তার।
আর্থিং এর এ উপদানসমূহ ব্যবহার করে আর্থিং করতে যে মালামালগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো নিচের ছকে দেয়া হলো।
অন্য পোষ্ট : Electric kettle - কেটলি - ইলেকট্রিক কেটলি - blender machine - ব্লেন্ডার মেশিন
ক্রমিক নং মালামালের বিবরণ এবং পরিমান
১। কপার পেট ৬০ সেমি x ৬০সেমি × ৩মি.মি - ১ পিস২। জিআই পাইপ ১৮ মি.মি. - ৪ মিটার
৩। স্ট্যান্ডার্ড সাইজসহ জিআই নাট এবং বোল্ট ওয়াসার - ২ পিস
৪। পিভিসি পাইড ১৮ মি.মি. ওয়াটার গ্রেড - ৪ মিটার
৫। স্যাডল ১৮ মি.মি. - ৮ পিস
৬। সিভিসি বেন্ড ১৮ মি.মি. - ৩ পিস
৭। জিআই তার SWG নং-৮ - ১ কেজি
৮। জিআই কভার ২৫ সে.মি. × ২৫সে.মি - ১ পিস
৯। ফানেল, স্যান্ডার্ড সাইজ - ১ পিস
১০। কাঠ কয়লা - পরিমাণমতো
১১। লবণ - ১৫ কেজি
১২। শক ট্রিটমেন্ট চার্ট - ১ পিস
১৩। নিরাপত্তা প্লেট - ১ পিস
১৪। সিমেন্ট এবং বালি - পরিমাণমতো
আর্থ ইলেকট্রোডের শ্রেণিবিভাগ :
পৃথিবীর মাটির সাথে কার্যকরী বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের জন্য আর্থ তারের শেষে যে ধাতুর ফলক বা পাত কিংবা ধাতুর পাইপ মাটির ভেতরে পোঁতা থাকে তাকে আর্থ প্লেট বা আর্থ ইলেকট্রোড (তড়িৎদ্বার) বলে। সাধারণত যে ধাতুর আর্থ ওয়্যার ব্যবহার করা হয়, সে ধাতুরই আর্থ প্লেট বা আর্থ ইলেকট্রোড হলে ভালো হয়।আর্থিং এর গুরুত্ব অনুয়ায়ী বিভিন্ন ধরনের আর্থ ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয়। সচরাচর পাঁচ রকমের আর্থ ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো -
১. পাইপ ইলেকট্রোড,
২. রড ইলেকট্রোড,
৩. প্লেট ইলেকট্রোড,
৪. স্ট্রিপ বা কন্ডাকটর ইলেকট্রোড ও
৫. শিট ইলেকটো
পাইপ ইলেকট্রোড :
গ্যালভানাইজ করা ইস্পাত বা লোহার পাইপ, যার সর্বনিম্ন ব্যাস কমপক্ষে ৩৮.১ মি. মি.এবং লম্বা ২ মিটার পাইপ আর্থ ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আর্থিং কি - আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি - ইলেকট্রোড কি - পাইপ আর্থিং
রড ইলেকট্রোড :
গ্যালভানাইজ করা লোহার বা ইস্পাতের রড (যার সর্বনিম্ন ব্যাস ১৬ মি.মি.) কিংবা ভামার রঙ(যার সর্বনিম্ন ব্যাস ১২.৫ মি.মি.) কে ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে রডের সর্বনিম্ন দৈঘ্য ২.০ মিটার হতে হবে। প্লেট ইলেকট্রোড: গ্যালভানাইজ করা লোহার প্লেট, যার সাইজ ৬০ সি.মি. × ৬০ সে.মি. × ৩.১৫ মি.মি.-কে প্লেট ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে প্লেটকে দাঁড় করিয়ে মাটিতে এমনভাবে পুঁততে হবে, যাতে তার উপরের অংশ ভূমির অন্তত তিন মিটার নিচে থাকে। স্ট্রিপ বা কন্ডাকটর ইলেকট্রোড গ্যালভানাইজ করা লোহা বা ইস্পাতের পাত (যার সর্বনিম্ন গ্রন্থচ্ছেদ ২৫ মি.মি.× ৪ মি.মি.) কিংবা তামার পাত (যার সর্বনিম্ন প্রস্থচ্চেদ ২৫ মি.মি. × ১.৬ মি.মি) কে ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
শিট ইলেকট্রো:
গ্যালভানাইজ করা লোহার শিট, যার পুরুত্ব কমপক্ষে ১.৬৩ মি.মি. এবং সাইজ ২ হতে ৬বর্গামিটার হওয়া উচিত। মেইন আর্থিং লিড বা আর্থ তার বিদ্যুৎ গ্রাহকের আর্থ টার্মিনাল (মেইন সুইচের আর্থ টার্মিনাল) কিংবা আর্থ লিকেজ সার্কিট ব্রেকারের কয়েলকে আর্থ প্লেট বা আর্থ ইলেকট্রোড-এর সঙ্গে সংযোগ করতে যে তার ব্যবহার হয়, তার নাম আর্থ তার। কখনও কখনও আর্থ তার, আর্থ প্লেটকে সরাসরি আসবাবপত্র বা মেশিনের আবরণের সাথে সংযোগ করে। তামার কিংবা গ্যালভানাইজ করা লোহার তার (সাধারণত: ৮,৬ বা ৪ নং এর গেজ-এর (S.W.G) আর্থ তার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর্থের নিরবিচ্ছিন্ন তার যে কন্ডাকটরের সাহায্যে বৈদ্যুতিক আসবাব, যন্ত্রপাতি কিংবা ওয়্যারিংয়ের ধাতুর আবরণ বা খোলের সঙ্গে আর্থ তার এর কানেকশন করা হয়, তার নাম আর্থ নিরবিচ্ছিন তার। এ তারের সাহায্যে সমস্ত ওয়্যারিং ও আসবাবপত্রে আর্থের কন্টিনিউয়িটি বজায় থাকে ।
আর্থিং করার পদ্ধতি সঠিক আর্থিং করতে সঠিক উপাদানসমূহ ব্যবহার করে নিয়ম মোতাবেক আর্থিং করতে হয়। ব্যবহৃত আর্থ ইলেকট্রোডের উপর ভিত্তি করে আর্থিং পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে। যথা
১. পাইপ আর্থিং,
২. রড আর্থিৎ,
৩. প্লেট আর্থিৎ,
৪. শিট আর্থিং এবং
৫. স্ট্রিপ আর্থিং
অন্য পোষ্ট : Avometer | Ammeter | Voltmeter | ভোল্টমিটার | Ohm meter | ওহম মিটার
নিচে আর্থিং করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির বর্ণনা দেয়া হলো
১। পাইপ আর্থিং গ্যালভানাইজ করা লোহার বা ইস্পাতের পাইপ ইলেকট্রোজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাইপের দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ২ মিটার আর ভিতরের ব্যাস ৩৮ মি.মি. হতে হবে। মাটি যদি শুকনা এবং খুব শক্ত হয়, তবে পাইপের দৈর্ঘ্য ২.৭৫ মিটার নিতে হবে। পাইপকে লম্বালম্বিভাবে ৭.৫ সে.মি অন্তর ১২ মি.মি. ব্যাস বিশিষ্ট ছিদ্র করা হয়। একটি ছিদ্র পরবর্তী ছিদ্রের আড়াআড়ি হবে যেন উপর হতে পানি ঢাললে ছিদ্রের মাধ্যমে পানি গিয়ে ইলেকট্রোডের চারপাশে মাটি ভেজা রাখে। বিল্ডিং হতে ১.৫ মিটার ব্যবধানে সাধারণত ৪.৭৫ মিটার গভীর গর্ভ করা হয়। তবে মাটির ভিতর যতটা গভীরে ভেজা মাটি পাওয়া যায়, ততদূর পর্যন্ত গর্ত খোঁড়া প্রয়োজন। পাইপের নিচের দিকে চারপার্শ্বে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত জায়গা কাঠ কয়লা আর লবণ দিয়ে ঘিরে দিতে হয়। এর ফলে পাইপ আর মাটির মধ্যে সংযোগের আয়তন বাড়ে এবং লবণ সে আর্থের রেজিস্ট্যাল কমিয়ে দেয়। গর্তের মধ্যে প্রথম স্তরে লবণ আর দ্বিতীয় স্তরে কাঠ কায়লা আবার তৃতীয় স্তরে লবণ এবং চতুর্থ স্তরে কাঠ কয়লা এভাবে স্তর থাকে। গ্রীষ্মকালে যখন মাটির আর্দ্রতা কমে গিয়ে আর্থের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়, তখন যাতে গর্তের মধ্যে কয়েক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে মাটিকে স্যাঁতসেঁতে রাখা যায়, সে জন্য ইলেকট্রোডের মাথায় সকেটের সাহায্যে এক ১১.৫ মি.মি. ব্যাসের লোহার পাইপ বসিয়ে তার উপর একটি ফানেল বসান হয়। কানেলের মুখ তারের জালি দিয়ে ঢেকে দিতে হয়, যাতে কোনো শক্ত জিনিস ঢুকে পাইপের মুখটা বন্ধ করে ফেলতে না পারে। এর সঠিক পদ্ধতি ২৬.২নং চিত্রে দেখানো হয়েছে।আর্থিং কি - আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি - ইলেকট্রোড কি - পাইপ আর্থিং
২। প্লেট আর্থিং গ্যালভানাইজ করা লোহা প্লেট যার সাইজ কমপক্ষে ৬০ সেমি x ৬০ সেমি x ৬.৩৫ মি.মি. অথবা তামার প্লেট যার সাইজ কমপক্ষে ৬০ সে.মি × ৬০ সে.মি. × ৩.১৮ মি.মি. কে আর্থ ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। উভয় ক্ষেত্রে প্লেটকে দাঁড় করিয়ে মাটিতে পুঁততে হবে, যাতে তার উপর দিকটা ভূ-পৃষ্ঠের অন্তত ৩ মিটার নিচে থাকে। এমন মাটিতে আর্থ প্লেট রাখতে হবে, যেখানে মাটি অনবরত স্যাতস্যাতে থাকে। প্লেটের চারিদিকে কাঠ-কয়লা কিংবা কার্বনের টুকরা ঠেসে দিয়ে লবণ মিশ্রিত পানি ঢেলে গর্তকে ভরাট করতে হবে। প্লেটের উপর থেকে সাধারনত দুটো গ্যালভানাইজ করা লোহার পাইপ উঠে আসে। একটি পাইপের ব্যাস ১২.৭ মিলিমিটার। এ পাইপের মধ্যদিয়েই আর্থের তার ভূমির প্রায় ৬০ সে.মি. নিচ দিয়ে মেইন সুইচ বোর্ড কিংবা আর্থিং বাসবার পর্যন্ত আনা হয়। অন্য পাইপটির ব্যাস ১৯.০৫ মি.মি. যার উপর মাথায় একটি ফানেল থাকে।
ফানেলের মুখ তারের জালি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়, যাতে কোনো শক্ত জিনিস ভিতরে ঢুকে মুখ বন্ধ করে ফেলতে না পারে। শুষ্ক মৌসুমে মাঝে মাঝে পানি ঢেলে আর্থ প্লেটের পার্শ্ব ভিজা রাখার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়। ফানেলসহ পাইপের উপর মাথায় চারদিকে ৩০ সে.মি x ৩০ সে.মি. x ৩০ সে.মি. মাপের ইটের চৌবাচ্চা গাঁথা থাকবে। চৌবাচ্চাটির একটি ঢাকনা থাকবে, যেটা প্রয়োজনে খুলে পানি ঢালা যায়। প্লেট আর্থিং এর চিত্র ২৬.৬ এ দেখানো হয়েছে।
৩ । রড আর্থিং : বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্যালভানাইজ করা ২.৫ মিটার লম্বা ১৬ মি.মি ব্যাসের লোহার বা জিআই পাইপকে আর্থিং ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করে। পাথরের জায়গায় এ রকম রড শোয়ানো অবস্থায় রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রয়োজনে রডের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যেতে পারে। ৪। কন্ডাক্টর বা স্ট্রিপ আর্থিং এতে গ্যালভানাইজ করা লোহা বা ইস্পাতের পাত (যার সর্বনিম্ন প্রস্থচ্চেদ ২৫ মি.মি. × ৪ মি.মি.) অথবা তামার পাত (যার সর্বনিম্ন প্রস্থচ্ছেদ ২৫ মি.মি. × ১৬৫ মি.মি.)-কে ইলেকট্রোড
হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ ইলেকট্রোডের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটারের কম নেয়া উচিত নয়। কমপক্ষে ৫০ সে.মি. মাটির নিচে একটি বা একাধিক নালা খনন করে তার মধ্যে ইলেকট্রোড শুইয়ে রাখা হয়। ৫। নিট ইলেকট্রোড এতে গ্যালভানাইজ করা লোহার পাত (যার সাইজ ২ থেকে ৬ বর্গমিটার এবং গরুত্ব কমপক্ষে ১.৬৩ মি.মি) কে ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত পাহাড়ের ঢালে পরিখা খনন করে শিট ইলেকট্রোড বসাতে হয়।
এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ জিআই পাইপের পানির লাইনের সাহায্যেও আর্থিং করা যায়। এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের আর্থিং ক্ল্যাম্পের সাহয্যে পাইপের কাছে আর্থিং তার এমনভাবে এটে দেয়া হয়, যাতে সংযোগস্থলের রেজিস্ট্যান্স খুবই সামান্য থাকে। পানির লাইন নিজস্ব সম্পত্তি না হয়ে মিউনিসিপ্যালিটি কিংবা অন্য কারো সম্পত্তি হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আর্থিং করা চলবে না।
অন্য পোষ্ট : generator watt meter | Electrical energy | Power factor
আর্থ রেজিস্ট্যাপ পরিমাপ করার পদ্ধতি:
আর্থ রেজিস্ট্যান্স বলতে সম্পূর্ণ আর্থিং পদ্ধতির রেজিস্ট্যান্সকেই বোঝায়। বাড়ি, ওয়ার্কশপ, কলকারখানার মেইন আর্থ টার্মিনাল থেকে আর্থ ইলেকট্রোডের মাধ্যমে যে রেজিস্ট্যান্স পাওয়া যায়, তাকে আর্দ্র রেজিস্ট্যান্স বলে।নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়।
১। মেগার বা আর্থ টেস্টার পদ্ধতি
২। টেস্ট ল্যাম্প পদ্ধতি
এখানে মেগার বা আর্থ টেস্টারের সাহায্যে আর্থ রেজিস্ট্যাল পরিমাপের পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:
মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে আর্থ ইলেকট্রোডের রেজিস্ট্যান্স মাপা হয়। এতে তিনটি টার্মিনাল থাকে। (ক) আর্থি টার্মিনাল,
(খ) পটেনশিয়াল টার্মিনাল এবং
(গ) কারেন্ট টার্মিনাল। যে আর্থ ইলেকট্রোড এর রেজিস্ট্যান্স মাপতে হবে তার সঙ্গে আর্থ টেস্টারের E টার্মিনাল সংযোগ করতে হবে। এবার দুটি স্পাইক নিয়ে একই লাইনে ঐ আর্থ ইলেকট্রোড হতে ২০ থেকে ২৫ মিটার পর পার দূরে মাটিতে পুঁততে হবে। প্রথমটির অর্থাৎ আর্থ ইলেকট্রোড এর নিকটবর্তী সম্পাইককে p টার্মিনালের সাথে এবং পরবর্তী দ্বিতীয়টির সাথে C টার্মিনাল সংযোগ করতে হবে। এবার মেগারের হাতলের সাহায্যে জেনারেটরকে ঘুরালে আর্থ টেস্টারে সরাসরি রিডিং পাওয়া যাবে। এই রিডিং ওহম এককে পাওয়া যাবে ।
এভাবে মাঝের স্পাইককে একই লাইনে ১.৫ মিটার হতে ৩ মিটার যথাক্রমে আর্থ ইলেকট্রোডের নিকট ও দুরে সরিয়ে পুঁতে আরও রিডিং নিতে হবে। তারপর মোট তিনটি রিডিং এর গড় মানকে আর্থের রেজিস্ট্যান্স ধরা হবে । কিন্তু জনবহুল এলাকায় যেখানে P এবং C স্পাইক পৌতার জায়গা নেই। সেখানে আর্থ টেস্টারের P ও C টার্মিনাল দুটিকে শর্ট করে তার সঙ্গে একটি লিডিং তার সংযোগ করে পানির পাইপের সঙ্গে সংযোগ করতে হবে। এবার হাতল ঘুরিয়ে টেস্টারের রিডিং নিতে হবে।
আর্থ টেস্টার ছাড়াও আর্থ টেস্টিং ল্যাম্প বা বাতি দিয়ে খুব সহকেই আর্থ রেজিস্ট্যান্স-এর অবস্থা জানা যায়। সেক্ষেত্রে টেস্ট শ্যাম্প এর এক প্রাপ্ত সাপ্লাইয়ের সাথে এবং জন্য প্রাপ্ত আর্থিং-এর সাথে সংযোগ করলে বাতি যদি ভালোভাবে জ্বলে তবে বুঝতে হবে যে আর্থিং ভালো আছে, না হলে আর্থিং ভালো নেই। অ্যামমিটার ও ভোল্টমিটার দিয়ে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়। তবে এই পদ্ধতি নির্ভরযোগ্য নয়।